মৃত্যু বন্যা হবে -রফিক রায়হান

***মৃত্যু বন্যা হবে***
---রায়হান বিন ইসমাইল

আমি কাব্যিক মনে কবিতা লিখি
বিদ্রোহ করি ভাষায়
আমি ছন্দের স্রোতে প্রতিবাদ দেখি
বিপ্লবি এক আশায়।

যত অবিচার করে ছারখার
ছন্দ ঢেউয়ে ভাসি
আমি নষ্ট প্রথার ধংস দেখে
চিৎকার করে হাসি।

আমি পথ শিশু দের বিছানার সুখ
খুজেছি অবান্তর
সমাজ তাদের দিয়েছে শুধুই
দুঃখ জীবনভর।

সমাজের তরে লেখাপড়া করে
এসেছে যে বাবুরাম
চেয়ারে বসে গরিবী ঘাড়ের
লহু চোষা তার কাম।

আশায় আমি বুক বেঁধেছি
সেদিন আসবে কবে!
যেদিন এই সমাজের বাধ ভেংগে
এক মৃত্যু বন্যা হবে।

রক্ত---রফিক রায়হান

আর কত রক্ত পুড়বে এই  বাংলার রাস্তায় 

আর কত প্রান  চলে যাবে অবলিলা সস্তায় 

এই পথ কি অগ্নি পথ নাকি কেউ নিয়েছে শপথ 

জলবে আগুন জলবে রক্ত হবে বাংলা ভুমির বধ 

আর নয় চুপ থাকা সরল বাংগালি এবার হবে বাকা 

গড়বো প্রতিরোধ 



 
সচল করবো প্রগতির মহা চাকা।

কবিতা---রফিক রায়হান

কবিতায় আছে ছন্দ কথা
                 কবিতায় আছে প্রান
কবিতায় গাই মনের  ব্যাথা
                 ছন্দ রাখি বেগমান
ছন্দ আকি ছন্দ বুনি
                 ছন্দে গান গাই
ছন্দহীনা  ছড়া কবিতায়
                  রংধনু অম্লান।

পাবো তোমার দেখা

---আবিদ আল আহসান

খুব ভোরে আজ ঘুম ভেঙেছে তোমায় স্বপ্নে দেখে
মিথ্যে আমার ভাবনাগুলো সুখ দিয়েছে মেখে
কেমন যেন লাগছে তখন হারানো সুখ পেয়ে
মনের কোনে সুরের কন্যা যাচ্ছিল গান গেয়ে
তার সে গানে মুগ্ধ হয়ে হারিয়ে সকল ভাষা
জেগেছিল আমার মনের সকল ভালবাসা।

সুবহে সাদিক, তবুও আমি বকুল তলায় গিয়ে
মালা গাঁথার জন্য আমি এসেছি বকুল নিয়ে
সুঁই-সুতো ফের এনেছি প্রিয়,বকুল ফুলের মালা
আপন হাতে গাঁথবো আজি জ্বালতে প্রদীপালা
সেই মালাটি তোমার গলে পরাবো নিজ হাতে
আমরা দুজন অন্ততকাল থাকবো যে একসাথে।

ফুল এনেছি, সুঁই-সুতা ফের, গাঁথতে যাব যেই
দেখি আমার স্নিগ্ধ-কমল হাত আর স্নিগ্ধ নেই
সুঁইয়ের খোঁচায় হাতের তালু রক্তে হয়েছে লাল
রক্ত-ফুলেই গেঁথেছি মালা চরম নির্ভেজাল
এই মালাটি পরবে গলায়? কাছে আসো তবে
আমি জানি তোমার আমার আবারো প্রেম হবে।

সারাটাদিন কেটে গেছে আসোনিকো তুমি!
তোমায় ভেবে কেন যেন মালাটিকেই চুমি
বিকেল গেছে সন্ধ্যা গেছে এখন রাতের বেলা
পূর্নিমা তাই চাঁদ-তারারা বসিয়েছে মেলা
জানালা খুলে আকাশ পানে চেয়ে আছি একা
ভাবছি আমি ঐ আকাশেই পাবো তোমার দেখা।

চেতনা- রফিক রায়হান

মানব সমাজ অনেকাংশেই তার চিন্তা শক্তি বা বিবেক দ্বারা পরিচালিত। তবে অধিকাংশ মানুষের বিবেক কোনো না কোনো মৌলিক চেতনা বা অাদর্শে অাদর্শিত। তাই সমষ্টিগত ভাবে বলা যায়। যে যেই সমাজের মৌলিক চেতনায়  অসমবন্টন নীতি বিদ্যমান আছে,সেই সমাজে বৈষম্য থকাটাই স্বাভাবিক। তাই সমাজের মৌলিক অাদর্শনীতি ও চেতনায় সাম্য নীতি বজায় রাখার মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সমতা বজায় রাখা সম্ভব হবে। এবং ধণী গরিবের বৈষম্য কমিয়ে সুসম অধিকার নিশ্চিত করা যাবে। 

ফেরা- রফিক রায়হান

বেস্তময় দিন শেষ হয়ে যখন সন্ধা আসার আয়োজন চলে তখন ক্লান্ত পাখির দল
ঘরে ফিরে যায়।দিনের শেষে খুজে নেয় তার আসল ঠিকানা। ঠিক তেমনি একদিন আমাদেরও জিবনের সকল হিসেব চুকিয়ে বিদায় নিতে হবে এই জিবন আকাশ থেকে ফিরে যেতে হবে আসল ঠিকানায় তবে রয়ে যাবে আমাদের পদচিহ্ন।

মুক্ত -রফিক রায়হান

মুক্ত আকাশ, উড়ছে দেখ মুক্ত পাখি,
    তাই মুক্ত রাখি আমার  ভাবনা আখি।